দুটি
12:27:00 AMকরিম চাকলাদার, একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার জীবনে অনেক সমস্যা।
তার দুটি ছেলে বর হয়েছে কিন্তউ মানুষ হল না। তারা তাদের বউ বাচ্চা নিয়ে দুটি আলাদা বাসায় থাকে। তার নাতি দুটিও তার বাসায় বেরাতে আসে না। কারন তার বাসায় কম্পিউটার, ল্যাপটপ দুটির একটিও নেই। অথচ তার দুটি ছেলের বাসায় একটি করে দুটি কম্পিউটার আছে।
তার নিজের বাসায় তিনি নিজে ও তার বউ দুটি প্রানী বাস করেন। এই বাসায় ধকার জন্য দুটি সদর দরজা আছে। দুটি দরজাই পাশাপাশি। তাই তিনি ভেবে পাননা যে বাড়িওলা দুটি ভিন্ন রুমে ধোকার জন্য দুটি দরজা না দিয়ে একই রুম এ দিয়েছেন কেন। এতে আছে দুটি বাথরুম, দুটি বারান্দা, বসার ঘরে আছে দুটি ফ্যান। এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট এর ফলাফল স্বরূপ আছে দুটি তালপাখা।
একদিন করিম সাহেব বাজারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলেন। বের হয়েই তিনি রোড ডিভাইডার দিয়ে দুটি ভাগ করা রাস্তার অপর পাশে দুটি শালিক বসে থাকতে দেখে খুব খুশি হলেন। তিনি রিকশার জন্য দুটিপাশে তাকালেন। তিনি দুটি রিকশা দেখতে পেলেন। এর মধ্যে একটি রিকশায় দুটি মানুষ হাসতে হাসতে যাচ্ছে। দুটি রিকশার অপরটি খালি আছে। তিনি তাকে ডাক দিলেন।
"রিকশা! যাবে?"
"কই যাবেন?"
"বাজারে।"
"হ, যামু।"
"ভাড়া কত?"
"দশ টাকা।"
"আরে ভাই, আট টাকায় চল না। দুটি টাকা বেশি চাচ্ছ কেন?"
"কি যে বলেন স্যার। দুটি টাকা বেশি চাইলাম কই? আমরা বার টাকায় যাই। আপনি মুরব্বি মানুষ। আপনার কাছে তো আমি দুটি টাকা কম চাইলাম।"
"ন। দুটি টাকা কমে আট তাকায় গেলে যাব নাহলে যাব না।"
"তাইলে দুটি পায়ের উপর দাড়ায়া থাকেন।"
করিম সাহেবের ভাবলেন, রিকশা ভাড়া দুটি টাকা করে বাড়তে বাড়তে বার টাকায় পৌছেছে। আর কত বাড়বে কে জানে। এরই মধ্যে অন্য রিকশা চলে এল। এটিও দুটি টাকা বেশি দশ টাকা চাইল। তিনি এটিতেও উঠলেন না। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি পদব্রজে গমন করবেন।
করিম সাহেব দুটি রিকশার দ্বারা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে, তার আপন দুটি পায়ে হেঁটে, দু কিলমিটার দূরের বাজারে আসলেন। তিনি বাজার করে দুটি ইলিশ মাছ কিনে তার দুটি হাতে দুটি বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাসায় দুটি দরজার বামটি দিয়ে ঢুকে রান্নাঘরের সামনে দুটি পায়ে ভর দিয়ে দাড়ালেন। তিনি স্ত্রীর হাতে ব্যাগ দুটি গছিয়ে দিয়ে অফিসের পথে রওনা হলেন।
অফিসে ঢুকেই জামাল সাহেবের সাথে তার দেখা।
"করিম সাহেব, আপনার ডেস্ক এ দুটি ফাইল রাখা আছে। ফাইল দুটিতে বড় সাহেবের একটি করে দুটি সাইন লাগবে।"
দুপুরে তিনি ভাত খেলেন দুটি তরকারি দিয়ে।
অফিস থেকে ফিরেই তিনি বাসার ভেতরে শুনতে পেলেন, "মানুষের আছে দুটি চোখ, দুটি কান, দুটি হাত, দুটি পা। আচ্ছা খালাম্মা, মানুষের তো নাকের দুটি ফুটোও আছে, তাই না?" বুয়ার ছেলে, তার স্ত্রীর কাছে পড়তে এসেছে।
গোসল করে তিনি দুটি বারান্দার একটিতে এসে বসলেন। ছেলেটি তার জন্য দুটি হাতে ধরে চা নিয়ে আসল। তিনি চা খেয়ে বারান্দায়ই ঘুম দিলেন।
তার দুটি ছেলে বর হয়েছে কিন্তউ মানুষ হল না। তারা তাদের বউ বাচ্চা নিয়ে দুটি আলাদা বাসায় থাকে। তার নাতি দুটিও তার বাসায় বেরাতে আসে না। কারন তার বাসায় কম্পিউটার, ল্যাপটপ দুটির একটিও নেই। অথচ তার দুটি ছেলের বাসায় একটি করে দুটি কম্পিউটার আছে।
তার নিজের বাসায় তিনি নিজে ও তার বউ দুটি প্রানী বাস করেন। এই বাসায় ধকার জন্য দুটি সদর দরজা আছে। দুটি দরজাই পাশাপাশি। তাই তিনি ভেবে পাননা যে বাড়িওলা দুটি ভিন্ন রুমে ধোকার জন্য দুটি দরজা না দিয়ে একই রুম এ দিয়েছেন কেন। এতে আছে দুটি বাথরুম, দুটি বারান্দা, বসার ঘরে আছে দুটি ফ্যান। এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট এর ফলাফল স্বরূপ আছে দুটি তালপাখা।
একদিন করিম সাহেব বাজারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলেন। বের হয়েই তিনি রোড ডিভাইডার দিয়ে দুটি ভাগ করা রাস্তার অপর পাশে দুটি শালিক বসে থাকতে দেখে খুব খুশি হলেন। তিনি রিকশার জন্য দুটিপাশে তাকালেন। তিনি দুটি রিকশা দেখতে পেলেন। এর মধ্যে একটি রিকশায় দুটি মানুষ হাসতে হাসতে যাচ্ছে। দুটি রিকশার অপরটি খালি আছে। তিনি তাকে ডাক দিলেন।
"রিকশা! যাবে?"
"কই যাবেন?"
"বাজারে।"
"হ, যামু।"
"ভাড়া কত?"
"দশ টাকা।"
"আরে ভাই, আট টাকায় চল না। দুটি টাকা বেশি চাচ্ছ কেন?"
"কি যে বলেন স্যার। দুটি টাকা বেশি চাইলাম কই? আমরা বার টাকায় যাই। আপনি মুরব্বি মানুষ। আপনার কাছে তো আমি দুটি টাকা কম চাইলাম।"
"ন। দুটি টাকা কমে আট তাকায় গেলে যাব নাহলে যাব না।"
"তাইলে দুটি পায়ের উপর দাড়ায়া থাকেন।"
করিম সাহেবের ভাবলেন, রিকশা ভাড়া দুটি টাকা করে বাড়তে বাড়তে বার টাকায় পৌছেছে। আর কত বাড়বে কে জানে। এরই মধ্যে অন্য রিকশা চলে এল। এটিও দুটি টাকা বেশি দশ টাকা চাইল। তিনি এটিতেও উঠলেন না। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি পদব্রজে গমন করবেন।
করিম সাহেব দুটি রিকশার দ্বারা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে, তার আপন দুটি পায়ে হেঁটে, দু কিলমিটার দূরের বাজারে আসলেন। তিনি বাজার করে দুটি ইলিশ মাছ কিনে তার দুটি হাতে দুটি বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাসায় দুটি দরজার বামটি দিয়ে ঢুকে রান্নাঘরের সামনে দুটি পায়ে ভর দিয়ে দাড়ালেন। তিনি স্ত্রীর হাতে ব্যাগ দুটি গছিয়ে দিয়ে অফিসের পথে রওনা হলেন।
অফিসে ঢুকেই জামাল সাহেবের সাথে তার দেখা।
"করিম সাহেব, আপনার ডেস্ক এ দুটি ফাইল রাখা আছে। ফাইল দুটিতে বড় সাহেবের একটি করে দুটি সাইন লাগবে।"
দুপুরে তিনি ভাত খেলেন দুটি তরকারি দিয়ে।
অফিস থেকে ফিরেই তিনি বাসার ভেতরে শুনতে পেলেন, "মানুষের আছে দুটি চোখ, দুটি কান, দুটি হাত, দুটি পা। আচ্ছা খালাম্মা, মানুষের তো নাকের দুটি ফুটোও আছে, তাই না?" বুয়ার ছেলে, তার স্ত্রীর কাছে পড়তে এসেছে।
গোসল করে তিনি দুটি বারান্দার একটিতে এসে বসলেন। ছেলেটি তার জন্য দুটি হাতে ধরে চা নিয়ে আসল। তিনি চা খেয়ে বারান্দায়ই ঘুম দিলেন।
0 comments